শেয়ার বিজ ডেস্ক:চীন গত ১০ মাসের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ভিত্তি সুদহার কমিয়েছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও আবাসন খাতে এর প্রভাব পড়েনি। খবর: রয়টার্স।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি কিছুটা চাঙা হলেও পরে আবার গতি হারিয়ে ফেলে। এই প্রেক্ষাপটে চীন এক বছর মেয়াদি লোন প্রাইম রেট (এলপিআর) ১০ ভিত্তি পয়েন্ট কমিয়ে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ করেছে। একই সঙ্গে তারা পাঁচ বছর মেয়াদি এলপিআরও ১০ ভিত্তি পয়েন্ট কমিয়ে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ করেছে।
রয়টার্সের জরিপে অংশ নেয়া ৩২ জন বিশ্লেষক আশা করেছিলেন উভয় এলপিআরের ভিত্তি পয়েন্ট কমানো হবে, তবে পাঁচ বছর মেয়াদি এলপিআর প্রত্যাশার চেয়ে কম বলে জানিয়েছেন তারা।
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের চীনবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান ইভান্স প্রিটচার্ড বলেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে নতুন ঋণের সুদহার কমবে, সেই সঙ্গে বিদ্যমান ঋণের সুদহারও কমবে। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কিছুটা গতি আসবে, তবে ঋণের চাহিদা কম থাকার কারণে আমরা মনে করি না যে ঋণের প্রবৃদ্ধি অনেকটা বেড়ে যাবে।
গত সপ্তাহে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি নীতি সুদহার হ্রাস করে। তার আলোকে এবার এলপিআর কমানো হলো।
প্রত্যাশার চেয়ে কম এলপিআর কমানোয় হ্যাং সেং সূচকে পতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশে। এছাড়া চীনা মুদ্রার পতন হয়েছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
বিওএফও গ্লোবাল রিসার্চের বিশ্লেষকরা এক নোটে জানিয়েছেন, পৃথকভাবে হয়তো আরও কিছু নীতিসহায়তা দেয়া হবে, যার মধ্যে আছে এলপিআর হ্রাস, বছরের শেষ নাগাদ যা ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট কমতে পারে। কিন্তু বিষয়টা কেবল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর সঙ্গে আরও যা থাকতে পারে, সেগুলো হলো বন্ধকি ঋণের সুদহার হ্রাস ও ঋণের কিস্তির পুনর্বিন্যাস। মানুষের ভোগব্যয় বৃদ্ধি সহায়ক নীতিও প্রণয়ন করা হতে পারে। মুদ্রানীতিতে এই সামান্য শিথিলতার কারণে প্রবৃদ্ধির হার একদম দ্রুতগতিতে পড়ে যাবে না, কিন্তু এ কারণে যে নিকট ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির হার অনেকটা বেড়ে যাবে, তেমনটাও হবে না। সেই সঙ্গে চলতি বছরের জন্য চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে তারা।