শেয়ার বিজ ডেস্ক:মিয়ানমারের বৃহত্তম দুই সরকারি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাংক দু’টি হলো মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক। এই দু’টি ব্যাংক ক্ষমতাসীন জান্তার বড় আর্থিক উৎস। খবর: রয়টার্স।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়াশিংটন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। গত বুধবার দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিৃবতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, মিয়ানমারে অভ্যুত্থান এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী সহিংসতার ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহির আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করে আসছে। এ পর্যায়ে ক্ষমতাসীনদের ডলার সংগ্রহের উৎসে কাটছাঁট কারার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সে লক্ষ্যেই মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের ট্রেজারি বিভাগ। গত আড়াই বছর ধরে মিয়ানমারে যে ভয়াবহ সহিংসতা চলছে সেজন্য ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহির আওতায় আনাই আমাদের লক্ষ্য।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। বর্তমান সামরিক সরকারের সর্বোচ্চ নির্বাহী সংস্থা মিলিটারি কাউন্সিলের প্রধান তিনি।
ক্ষমতা দখলের পর কারাগারে বন্দি করা হয় এনএলডির শীর্ষ নেত্রী সুচিসহ দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। রাজধানী নেপিদোর একটি সামরিক আদালতে সুচির বিচার চলছে এবং বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় ইতোমধ্যে তার ২৫ বছর কারাবাসের সাজাও ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্ষমতা দখলের পর সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংসহ সামরিক বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। সেই তালিকায় এবার যোগ হতে যাচ্ছে সামরিক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উৎস হিসেবে বিবেচিত মিয়ানমারের বৃহত্তম দুই সরকারি ব্যাংক।
জান্তা জানিয়েছে, আসন্ন এই পদক্ষেপের ব্যাপারে তাদের তেমন উদ্বেগ নেই।