উত্থানেও তিন খাতে বিক্রির চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়ে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে এদিন সিএসইতে ৫৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা স্টক এক্সচেঞ্জটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ লেনদেন। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকায় ও কেনার চাপ বেশি থাকায় শেয়ারদর বেশি বেড়েছে পাট খাতের। অপরদিকে এদিন সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধিতেও বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিল এবং বিক্রির চাপ বেশি ছিল তিন খাতের শেয়ারে। এদিন সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে সেবা ও আবাসন খাতে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।  খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের সবগুলোর দর বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল জীবন বিমা ও বিবিধ খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় সেবা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সাধারণ বিমা খাত।

গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশলী খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্যমতে, বাজারে ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১২ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৩৬২ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬৩০ কোটি ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৯০ কোটি ৯৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ৪৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম।

দাম কমার তুলনায় বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৬২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে ১৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ৩৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৫৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার ২২০ টাকার শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০