নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি মেডিকেলে চলমান অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয়) প্রক্রিয়া বাতিল চেয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)। একই সঙ্গে দেশের বেসরকারি মেডিকেল ভর্তিতে অটোমেশনের পরিবর্তে আগের নিয়ম বহাল রাখার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক যৌথ চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর পাঠানো ওই চিঠির সংযুক্তি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরেও।
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, এবার বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে অটোমেশন প্রক্রিয়ায় বড় সংকট তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যে আমরা জানতে পেরেছি, গত ১৮ জুন ১০০ টাকা জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়নের শেষ তারিখে মাত্র তিন হাজার ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রী কনফার্ম করেছে। এতে সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আসন পূর্ণ হবে না বলে আমাদের ধারণা, স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হওয়ায় কলেজ শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। এ বছর ৪৯ হাজার ছাত্রছাত্রী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে বেসরকারি মেডিকেলের ভর্তির জন্য যখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তখন মাত্র ৬ হাজার ৩২০টি আবেদন পড়ে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর আসন সংখ্যা হচ্ছে ৬ হাজার ৫০০-এর মতো। এতে ১:১ অনুপাতে মেধাক্রম অনুসারে আসন সংখ্যা পূর্ণ হয়নি। ভর্তি নীতিমালায়় বলা আছে ১:৫ অর্থাৎ একটি আসনের বিপরীতে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচন হবে।
ঢাকা শহরে একজন অভিভাবক তার সন্তানকে নিজ অর্থে ঢাকায় পড়ানোয় আগ্রহী থাকলে এখানে সে অটোমেশনে ঢাকার বাইরে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলে সেই ক্ষেত্রে তার মেডিকেল শিক্ষার প্রতি অনীহা তৈরি হবে। বেসরকারি মেডিকেলের মতো ব্যয়বহুল শিক্ষায় যারা পড়তে ইচ্ছুক তারা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে নিজেদের পছন্দের কলেজে পড়তে চায়। কিন্তু অটোমেশনের ফলে তাকে যদি এমন মেডিকেলে দেয়া হলে সেটা তার জন্য পছন্দনীয় নয়। ফলে তারা মেডিকেলে ভর্তি হতেই অনিচ্ছুক হয়ে পড়বে। এ কারণে অটোমেশন প্রক্রিয়়ার পরিবর্তে পূর্বে প্রচলিত ভর্তি ব্যবস্থাই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ উভয়ে়র জন্য সুবিধাজনক দাবি করা হয় চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয়) পদ্ধতি চালু করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে নানা অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে অমেধাবীদের ভর্তির সুযোগ বন্ধে এই উদ্যোগের কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।