নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ে নিজ দেশকে এগিয়ে যাচ্ছেন তা সবসময় সম্মান করে চীন। অথচ আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কারও হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।
বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অন্যান্য এশিয়ান দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ এবং চীন বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকতে চায় বলেও জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম এ সময় নব্বই দশকে চীনের শেনজিং ভ্রমণের স্মৃতিচারণ উল্লেখ করে বলেন, চীনের অবকাঠামো, সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ তখনই অনুধাবন করা যেত। বর্তমানে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এশিয়ান দেশ হিসেবে এ অর্জন আমাদের সবার জন্যই গর্বের।
চীনের এখন জিডিপি ১৯.৩৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, উভয় দেশ পারস্পরিক লাভ ও মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করতে পারে। চীনের রাষ্ট্রদূত ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
রাষ্ট্রদূত দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে চীনা অর্থায়নের বিষয়টি উল্লেখ করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প সংলগ্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বলে জানান। রাজশাহীতে নির্মিত হতে যাওয়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভূ-উপরস্থ পানি শোধনাগার প্রকল্পে চীনা সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে ইয়াও ওয়েন জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন আরও ভূমিকা রাখতে চায়। বাংলাদেশ যদি প্রকল্প প্রস্তাব দেয় তাহলে চীন দুই দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে চায়। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত চীনের অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনা সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ প্রকল্পটিকে একটি আদর্শ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রমবর্ধমান নগরায়ণের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ প্রকল্প বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্ত উšে§াচন করবে।
আলোচনা শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন স্ব স্ব দেশের স্মারক উপহার নিজেদের মধ্যে বিনিময় করেন।