নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে বিএনপি ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আশা, ভবিষ্যতে এ নিয়ে একটি রূপরেখা আসবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবিধানের মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে কীভাবে নির্বাচন করা যায় তার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন ড. শাহদীন মালিক, এ নিয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা শাহদীন মালিকের আইনগতভাবে যে চিন্তা, সেখান থেকে তিনি এটা বলেছেন। এটা তো বিএনপির চিন্তা নয়। আমরা আরও সুনির্দিষ্টভাবে ভবিষ্যতে বলব। ইতোমধ্যে আমরা আলোচনা শুরু করেছি, পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে কথা বলেছি সেমিনারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। শাহদীন মালিককে ধন্যবাদ জানাই, তিনি তার মতামত দিয়েছেন। আশা করি, দেশে আরও যেসব সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা তাদের মতামত দেবেন। সেখান থেকে একটা চিন্তা বেরিয়ে আসবে। বিশ্বাস করি, প্রতিটি প্রস্তাবে জনগণ যেভাবে চাইবে তার প্রতিফলন থাকবে।
বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সেজন্য আলোচনা করছি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে সেমিনার করেছি। সেভাবে নিশ্চয়ই আলোচনা করে একটি রূপরেখা আসবে বলে আশা করি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঈদের পর আমাদের আন্দোলন তো আরও জোরদার হবে। আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে চাই।
ভালো আছেন খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় আসার পর দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তিনি ভালো আছেন। যে সমস্যাগুলো নিয়ে গিয়েছিলেন, সেসবের সমাধান হয়েছে। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর আগে গত রোববার খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু ওনার মূল সমস্যাগুলোর সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা তো নেই। তার আর্থ্রাইটিস ও হার্টের সমস্যা আছে। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন। বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা দরকার, কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। এই কারণে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।