শেয়ার বিজ ডেস্ক: সুইডেনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে। আগামী সপ্তাহে সংস্থাটির সদর দপ্তর জেদ্দায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। ওআইসির মুখপাত্র জানান, বৈঠকে কোরআন পোড়ানোর মতো ঘৃণ্য কাজের বিষয়ে সব মুসলিম দেশের ঐকমত্যের ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। খবর: আরব নিউজ।
কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গত শনিবার জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোরআন বা অন্য কোনো পবিত্র গ্রন্থের কপি পোড়ানো আপত্তিকর ও অসম্মানজনক, যা স্পষ্ট উসকানিমূলক কাজ।
ইইউ’র বিদেশ ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি এক বিবৃতিতে বলেন, বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া সম্পর্কিত ঘটনা ইউরোপে কোনো স্থান নেই। সুইডেনে যে ব্যক্তি কোরআন পুড়িয়েছেন ওই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে ইইউ।
গত বুধবার স্টকহোমের সবচেয়ে বড় মসজিদের সামনে ইরাকি যুবক সালওয়ান মোমিকার কোরআন পোড়ান। এতে মুসলিম বিশ্বে নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। কিছু মুসলিম দেশ সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে এবং সুইডিশ রাষ্ট্রদূতদের ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সুইডেনের সঙ্গে ইরাকের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিয়া ধর্মগুরু মোকতাদা আল-সদরের কয়েক হাজার সমর্থক। বিক্ষোভকারীরা ইরাকি পতাকা এবং আল-সদর ও তার বাবার প্রতিকৃতি প্রদর্শন করেছেন। আল-সদরের বাবাও একজন বিশিষ্ট আলেম ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ‘কোরআনের প্রতি হ্যাঁ, হ্যাঁ, মোকতাদা, মোক্তাদা’ বলে সেøাগান দেন। শিয়া ধর্মগুরু মোকতাদা আল-সদর সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং সুইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ডেকেছিলেন।
ইরাকি ওই যুবক আবার কোরআন পোড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ১০ দিনের মধ্যে আমি স্টকহোমে ইরাক দূতাবাসের সামনে ইরাকি পতাকা ও কোরআন পুড়িয়ে দেব।
সুইডেনের ‘এক্সপ্রেসেন’ সংবাদমাধ্যমকে মোমিকা জানান, তিনি জানতেন এই কাজের প্রতিক্রিয়া আসবে, হাজারো হত্যার হুমকিও পেয়েছেন এরই মধ্য। তবে তিনি কোরআন পোড়ানোকে কোনো জাতির প্রতি বিদ্বেষ বলে মনে করেন না, বরং এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে মনে করেন।