শেয়ার বিজ ডেস্ক:হঠাৎ পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন চীনের ধনকুবের জ্যাক মা। জানা গেছে, গত ২৯ জুন পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২৩ ঘণ্টা সেদেশে ছিলেন তিনি। তবে এই সফরে গণমাধ্যমের সামনে আসেননি তিনি।
এই সফর নিয়ে চীনের প্রশাসনও একেবারে অন্ধকারে। প্রসঙ্গত, শি জিনপিং প্রশাসনের নতুন ব্যাংকনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর থেকে কোণঠাসা জ্যাক মা। তার গতিবিধির দিকে কড়া নজর রাখে বেইজিং।
পাকিস্তান সফরে জ্যাক মায়ের সঙ্গে আরও পাঁচ চীনা নাগরিক ও এক মার্কিন নাগরিক ছিলেন। তবে পাকিস্তানে সরকারের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেননি জ্যাক মা। পাকিস্তানের বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজফার আহসান ইন্ডিয়া ন্যারেটিভকে বলেন, এটি ছিল একেবারেই ব্যক্তিগত সফর। তবে একাধিক সূত্র বলছে, অর্থনৈতিক সংকটে জর্জর পাকিস্তানে দাতব্য কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন জ্যাক মা।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকং থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকা হয়ে কাঠমান্ডু, এরপর লাহোরে পৌঁছান জ্যাক মা।
ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড নেপালের ইমিগ্রেশন দপ্তরের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ঢাকা হয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে গত ২৭ জুন কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জ্যাক মা।
নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক ঝালাক্রাম অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নেপালে জ্যাক মার সফরসূচি গোপন রাখা হয়েছিল।
পাঁচ বছর আগে জ্যাক মার প্রতিষ্ঠিত আলিবাবা এরই মধ্যে ই-কমার্স কোম্পানি দারাজ অধিগ্রহণ করেছে। দারাজ এখন দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও নেপালে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচক অনুসারে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জ্যাক মা চীনের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। তার মোট সম্পদ ৩৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের ৩৯তম ধনী তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর শোনা গিয়েছিল চীন ছেড়ে পাকাপাকিভাবে জাপানে চলে গেছেন জ্যাক মা। জাপানে বসবাসের পাশাপাশি নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলে যান জ্যাক মা।