শেয়ার বিজ ডেস্ক:বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবার কিছুটা কমেছে। গতকাল সোমবার সকালে এশিয়ার বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৭৫ দশমিক ২১ ডলারে নেমে আসে। এর আগে শুক্রবার তা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছিল। খবর: রয়টার্স।
গতকাল ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৭০ দশমিক ৪১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের দিন এই অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনায় জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমেছে। তবে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেলের দাম বাড়াতে উৎপাদন কমিয়ে যাচ্ছে। ফেড নীতি সুদহার বাড়ালে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গত জুন পর্যন্ত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম টানা চতুর্থ প্রান্তিক ধরে কমেছে। সেই সঙ্গে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও দুই প্রান্তিকে কমেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতি গতি হারানোর কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, সে কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।
গত বছর থেকে ফেডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। এতে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু সে দেশের মূল্যস্ফীতির হার এখনও ফেডারেল রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ শতাংশ বেশি, তাই ফেড আবার নীতি সুদহার বৃদ্ধি করতে পারেÑএমন সম্ভাবনা রয়েছে।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের এক নোটে বলা হয়েছে, নীতি সুদহার নিয়ে আগ্রাসী অনেক মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতির চাহিদা নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার জেরে জ্বালানি তেলের দাম কমছে।
এদিকে সৌদি আরব তেলের দাম বাড়াতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। ওপেক যে উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে, তার ওপর সৌদি আরও নিজে আরও ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।