নিজস্ব প্রতিবেদক:শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বস্ত্র খাতের কোম্পানি দি ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির গত ২১ জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন শেয়ারদর ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা, যা গত ৪ জুলাই লেনদেন হয় ১৮ টাকায়। এ হিসেবে মাত্র ৬ কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ৫ জুলাই ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৫ শেয়ার ১ হাজার ৭০৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনওসিএফপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা।
এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৮ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ২১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।