নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ২ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে। ওই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ২৩ টাকা ৫০ পয়সা, যা গতকাল ৯ জুলাই লেনদেন হয় ৩৫ টাকা ২০ পয়সায়। এ হিসাবে ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
তবে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফু ওয়াং ফুডের শেয়ারদর ১০ শতাংশ বা ৩ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৩২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৯৬ লাখ ৬ হাজার ৬৫৫টি শেয়ার তিন হাজার ৫৭৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৩২ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৩৫ টাকা ২০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ২২ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত প্রথমার্ধের বা ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ মার্চ।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। মোট শেয়ারের মধ্যে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, এক দশমিক ০৮ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।