কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে রূপালী ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির গত ১০ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন শেয়ারদর ছিল ২৮ টাকা ৪০ পয়সা, যা গতকাল ১৭ জুলাই লেনদেন হয় ৩৬ টাকা ২০ পয়সায়। এ হিসেবে মাত্র ৫ কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২১ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৫ শেয়ার ১ হাজার ৯০১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৫৮০ কোটি ৮৯লাখ টাকা। রূপালী ব্যাংকের মোট ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ২০৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২১ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস ১৭ পয়সা বেড়েছে। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৭৭ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ৩ টাকা ৮০ পয়সা ছিল।

৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৬ টাকা ৪৯ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ জুলাই বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ১০ পয়সা। আর ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৩৭ টাকা ৮৮ পয়সা। আর ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১৯ টাকা ৪৩ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০