নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের দীর্ঘমেয়াদি রেটিং হয়েছে ‘সিপিএ এএ’। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে। রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
উল্লেখ্য, ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেয়নি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। জমা না দেয়ার বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
তথ্যমতে, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সালের সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিল। ঘোষণা অনুসারে, লভ্যাংশ জমা দেয়ার পর তথ্য ডিএসইতে জানানোর নিয়ম। কিন্তু এখনও সেই তথ্য ডিএসইতে দেয়া হয়নি। এ কারণে ডিএসই একটি তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫১ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ১৭ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ৪৯ টাকা ৯৮ পয়সা। এছাড়া এ প্রান্তিকে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৪৮ পয়সা। এছাড়া ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সরকারের কাছে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং বাকি ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।