লভ্যাংশ পাঠিয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এবং বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড: ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বরে তাদের শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭১ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১০৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১১০ কোটি ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩৬টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ০৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৬৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ০১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৮৪ পয়সা।

বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৫ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৩৫ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৩ টাকা ২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ৩৭ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা, অথচ আগের বছরের একইসময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০