নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডেঙ্গুর মূল দায়িত্ব হচ্ছে সিটি করপোরেশনের। কিন্তু সেই সিটি করপোরেশনের মেয়ররা বিলাসিতায় ব্যস্ত। বিদেশ ভ্রমণ করছেন ঢাকার মেয়ররা। আর ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। এখানে তাদের কোনো খেয়াল নেই, পদক্ষেপ নেই।
সোমবার দুপুরে রাজধানীতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এর উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জীবানুনাশক স্প্রে ও সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। এর আগে করোনা মহামারি গেল সরকার কোনো প্রতিকারই করতে পারেনি। এরপর আসল ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। কিন্তু মেয়ররা ব্যস্ত বিদেশ ভ্রমণে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতির সঙ্গে সমাজসেবাকে সংযুক্ত করেছিলেন। আমি নিজে দেখেছি তাকে হাতে কোদাল নিয়ে খাল কাটতে, বৃক্ষ রোপণ করতে, পল্লী চিকিৎসক গঠন করে তৃণমূলে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পৌঁছে দিতে।
তিনি বলেন, আজকে এ ধরনের মানবসেবা ও মানবকল্যাণমূলক কাজ আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেখিনা। রাষ্ট্রের যারা পরিচালক তারা অবৈধ এবং তাদের পরিচয়ই হচ্ছে তারা গুম খুনের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। সুতরাং এরা তো কখনই আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করবে না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে কীভাবে আবারও প্রশাসন সাজিয়ে একটা অবৈধ নির্বাচন করা যায়। ইতোমধ্যে দেখেছেন ঢাকা-১৭ আসনে তামাশার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন তারা করলেন এতেই প্রমাণিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার অধীনে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। এটা একেবারে নিশ্চিত।
রিজভী বলেন, এসব কারণেই আজকে ভোটের সুস্থতার জন্য শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা দরকার।
তিনি বলেন, প্রতিদিন আমরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দেখছি। বিভিন্ন হাসপাতালে কত মানুষ যে মারা যাচ্ছে তার হিসাব নেই। আজকে যেসব মানুষের উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ নেই, নিম্ন মধ্যবিত্তরা যারা বস্তিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন। এদের পরিসংখ্যানও ঠিকমতো হাতে পৌঁছে না। এই রকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি যাচ্ছে একের পর এক।
জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফ’র ডা. এএইচএস হায়দার পারভেজ, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শফিউল আলম দিদার, কেএম সানোয়ার আলম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ খান, শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সোহেল ও প্রকৌশলী এনামুল হাসান প্রমুখ। কর্মসূচি উদ্বোধনের পর পাশের গলিতে মানুষের হাতে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ, জীবানুনাশক স্প্রে ও র্যালি করা হয়।