কোটি টাকার ব্রিজে উঠতে লাগে মই

ফারুক আলম, লালমনিরহাট: সেতু আছে সড়ক নেই। এমন দুটি সেতু ব্যবহার করতে স্থানীয়রা মই ব্যবহার করছেন। মই ছাড়া সেতু ব্যবহারের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার হাজিরহাটে দুটি ব্রিজের এমন করুণ পরিস্থিতি। একই খালের পূর্ব-পশ্চিম মুখে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে। একই খালের উত্তর-দক্ষিণ মুখে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) তিন কোটি টাকায় ৩০ মিটার আর একটি ব্রিজ নির্মাণ করে।

এতে হাজিরহাট, মটুকপুর, চিলাখাল, বৈরিতির ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ চলাচল করেন। ব্রিজের প্রান্তে বাবার আলী উচ্চবিদ্যালয়, এন জামান প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি এতিমখানা রয়েছে।

স্থানীয়রা ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ব্রিজ দুটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। মাত্র এক দিনের বন্যায় ব্রিজ দুটির সংযোগ সড়ক ভেসে যায়। তারপর ঠিক করার কোনো বন্দোবস্ত করেনি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, দুই পাশে ফসলি জমি, মাঝে সেতু। নিচে সেতুতে কোমর সমান পানি। এমন দুর্গম স্থানে সেতু নির্মাণ করেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও বিএডিসির কর্তৃপক্ষ। অনেকে খালের কোমর সমান পানির মধ্য দিয়ে পার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল মিয়া, শফিকুল ইসলামসহ অনেকের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর বিষয়ে ভালো পরিকল্পনা ছিল না। মই বেয়ে সেতু পারাপার হতে হচ্ছে।

লালমনিরহাট বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী হুসেইন মোহাম্মদ আলতাফ বলেন, আমাদের ব্রিজের কোনো সমস্যা হয়নি। বন্যার কারণে মাটি সরে গেছে। বন্যার সময় কাঁচা সড়কে এমন হয়। আমরা দ্রুত ঠিক করে দেব।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে সদ্যনির্মিত ব্রিজটি তিস্তার ভয়াবহ বন্যায় সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিগগিরই সেতুটি চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০