নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে দেশে মানসম্মত অবকাঠামোগত কাজ গুরুত্ব পাচ্ছে। এই অগ্রগতির জন্যই আজ আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসই ও মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়টি প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনা করতে পারছি।’
বুধবার (২৬ জুলাই) মিরপুরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ‘অ্যাডভান্সেস ইন সিভিল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন মেটারিয়ালস’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনে নেমে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে মাথাপিছু আয় থেকে ২৭৭ মার্কিন ডলারে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সামরিক শাসকেরা ২১ বছরে মাথাপিছু আয় মাত্র ৫২ ডলার বাড়িয়েছিল। এ চিত্র থেকে বোঝা যায়, সামরিক নেতৃত্বে বাংলাদেশে কতটা পিছিয়ে পড়েছিল। ছোট আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে যাওয়ায় দেশের সমস্যা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে একটি কঠিন সময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। ওই সময় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৩২৯ ডলার। তিনি খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে মাত্র পাঁচ বছরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলেন। সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ফলে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’
একটি দেশের উন্নয়নে অবকাঠামগত স্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অবকাঠামগত উন্নয়নে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা সমৃদ্ধ হবেন।’