নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন আরও কমে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এতে এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন আরও ১২২ কোটি টাকার বেশি কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। আলোচ্য খাতটিতে এদিন সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে এবং ১৫টির কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা সিমেন্ট খাতেও শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারটিতে ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৯১টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬০ কোটি ৯৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার।
এদিন দাম বেড়েছে ৮৭টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৭২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৮টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬০ পয়েন্টে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭১০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৪৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১টির দাম। এদিন সিএসইতে ৬ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার ৫৩১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার ৬৭২ টাকার শেয়ার।
