নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১৩ পয়সা বা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (্এপ্রিল-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৪১ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ৯ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮২ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৪৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৫ টাকা ৬০ পয়সা ছিল।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩২ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৭ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
