শেয়ার বিজ ডেস্ক: পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বিবেচনা করছে ডেনমার্ক। এজন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। সুইডেনও একই ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে। খবর: বিবিসি।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধরনের বিক্ষোভে উগ্রবাদীরা লাভবান হয়। নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক কারণে দেশটি তাই ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। দূতাবাসের বাইরে এ ধরনের বিক্ষোভ ও কিছু পরিস্থিতি ঠেকাতে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে কোপেনহেগেন।
ওদিকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারাও একই ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, সুইডেনের নিরাপত্তার স্বার্থে একই ধরনের আইনি পদক্ষেপ তারা নিতে যাচ্ছেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, আমরা ইতোমধ্যেই (পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো বন্ধ করতে) আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছি… আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সুইডেন ও বিশ্বজুড়ে সুইডিশদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা বিবেচনা করার জন্য এটি করা হচ্ছে।
দুটি দেশেই বেশ কয়েকবার কোরআন শরিফ পুড়িয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, অন্য দেশ, সংস্কৃতি ও ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছেÑএমন বিক্ষোভ ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে চায় ডেনমার্ক। এ ধরনের বিক্ষোভ ডেনমার্কের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু ডেনমার্ক সরকার বাকস্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে যে কোনো পরিবর্তন অবশ্যই ‘সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কাঠামোর মধ্যে করা উচিত বলে জোর দিয়েছে। এছাড়া এমন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে, যা এই সত্যকে পরিবর্তন না করে যে, ডেনমার্কে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে’।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের বিতর্কিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক খ্যাতির ওপর প্রভাব ফেলেছে।