শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বে মোট কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের ছয় থেকে সাত শতাংশের জন্য দায়ী সিমেন্ট উৎপাদন। এই প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব করতে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে হোলসিম সিমেন্ট। এজন্য সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি কার্বন-নিরপেক্ষ সিমেন্ট উৎপাদন করছে। খবর: ডয়চে ভেলে।
হোলসিমের কারখানায় চুল্লিতে প্রায় দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চুনাপাথর থেকে সিমেন্ট তৈরি হয়। এতে অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়। এই ক্ষতিকার পদার্থ বাতাসে না ছেড়ে তা প্রক্রিয়াজাত করে পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্প খাতের ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়।
হোলসিমের ডিকার্বনাইজেশন বিভাগের প্রধান আর্নে স্টেখার বলেন, বর্তমানে তাদের কারখানায় আশপাশের বাতাস ব্যবহার করে জ্বালানি পোড়ানো হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে খাঁটি অক্সিজেন ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, এটি এমন এক বিষয়, যা স্কুলে শেখানো হয়—খাঁটি অক্সিজেন ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তিনি জানান, শিগগির তাদের দুটি বড় কারখানা নির্মাণ করতে হবে। প্রথমটি, ইলেক্ট্রোলাইসিস ফ্যাক্টরি। এটি হাইড্রোজেন তৈরি করবে, যা হাইব্রিড যানে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া বর্জ্য হিসেবে খাঁটি অক্সিজেন পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের পুরো বিদ্যুৎ আসবে বায়ুশক্তি থেকে, কারণ এটি কার্বন-নিরপেক্ষ শক্তি উৎপাদনের সবচেয়ে ভালো উৎস। বর্জ্য হিসেবে পাওয়া অক্সিজেন পাইপলাইনের মাধ্যমে সিমেন্ট কারখানায় পাঠানো হয়।
আর্নে স্টেখার জানান, নতুন ধরনের চুল্লি তৈরি ও পোড়ানোর কাজে অক্সিজেন ব্যবহার করতে আমরা বিনিয়োগ করছি। এটি একটি পাইলট প্রকল্প। এতে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আমরা ১০০ মিলিয়ন ইউরো পাচ্ছি, যা মোট বিনিয়োগের ২০ শতাংশ।
হোলসিমের কারখানায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করে সিমেন্ট তৈরি চলছে। প্যাকেটের রং সবুজ এবং অন্য সিমেন্টের চেয়ে এই সিমেন্টের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কিছুটা ভালো। তবে এখনও বেশিরভাগ সিমেন্ট আগের পদ্ধতিতেই তৈরি হচ্ছে, যা বছরে প্রায় ১৩ লাখ টনের মতো।
