নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ঋণগ্রহীতা ও জামিনদাতার উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত ডেটাবেজ থেকে ছাপ যাচাই করে ব্যাংক তা গ্রহণ করবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
সম্প্রতি আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কোনো কোনো ঋণগ্রহীতা ও জামিনদারের স্বাক্ষর নেই। এতে ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঋণ বিতরণের আগে ঋণসংশ্লিষ্ট চার্জ ডকুমেন্টগুলো সম্পাদন করাসহ প্রাথমিক ও সহ-জামানতের ওপর চার্জ আরোপের নির্দেশনা রয়েছে। এতে গ্রাহকভিত্তিক, ঋণের ধরনভিত্তিক ও ঋণের জামানতভিত্তিক গৃহীত চার্জ ডকুমেন্টগুলো তালিকা আকারে উল্লেখ করা রয়েছে, যেখানে ঋণগ্রহীতা ও তৃতীয় ব্যক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে বেশ কিছু রিট পিটিশন দায়ের করা হচ্ছে, যেখানে ঋণগ্রহীতা এবং ঋণের জামিনদাতা উভয়ে ঋণ গ্রহণ ও জামিন প্রদানসংক্রান্ত দলিলাদিতে স্বাক্ষর প্রদান করেননি মর্মে উল্লেখ করেছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট চার্জ ডকুমেন্টগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা ও জামিনদাতার স্বাক্ষরের ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা নিরসনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ঋণ দেয়ার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা চার্জ ডকুমেন্টসের বিষয়বস্তু ঋণগ্রহীতা, জামিনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ব্যক্তিকে পড়ে শোনানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এসব নথিতে স্বাক্ষরের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পাশাপাশি তাদের উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত ডেটাবেজ থেকে যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে।
ব্যাংকাররা জানান, ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা ও জামিনদাতার জন্য বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেয়ার বিষয়টি ভালো। বিশেষ করে জামিনদাতার ক্ষেত্রে। কারণ অনেক সময় জামিনদারের স্বাক্ষর নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তাই এখন খুবই সচেতন হয়ে ঋণগ্রহীতার পক্ষে জামিনদার হবে।