নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় কমেছে। আলোচিত সময়ের প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৮ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২০ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ৬৮ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ ২০২১ সালে মুনাফায় থাকলেও ২০২২ সালে লোকসান গুনেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি।
এছাড়া ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮৯ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১৪ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৪ পয়সা।
ঘোষিত এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আয়োজন করা হয়েছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ আগস্ট।
এর আগে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা; আর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৯৪ পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৭২ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভে রয়েছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৭ কোটি ২৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৯ দশমিক ১৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে সাত দশমিক ৬৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১১ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ১৩টি শেয়ার মোট ৩ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১ টাকা থেকে ৫০ টাকা ১৫ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।