শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের কিছু শিল্প খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ জারির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত আলোচনার সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তথ্যটি জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
তিক্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে দুই দেশের যে প্রচেষ্টা সম্প্রতি দেখা গেছে, নতুন এ পদক্ষেপের কারণে বেইজিং ক্ষুব্ধ হলে তা ভেস্তে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশসানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধিনিষেধের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে না। এর মধ্যে রয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত সেমিকন্ডাক্টর খাত। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় বিধিনিষেধের এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে আগামী বুধবার।
কর্মকর্তারা বলেন, চীনের সঙ্গে বৈধ ব্যবসায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে দেশের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় প্রশাসন এ পরিকল্পনা নিয়েছে। চীনের সামরিক বাহিনী ও সরকারি নজরদারিতে সহায়তা করতে পারে এমন অল্প কিছু খাতকে বিধিনিষেধের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
বিধিনিষেধের আরেক অংশ হলোÑচীনের বিস্তৃত শিল্প খাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফার্ম বিনিয়োগ করলে সব কার্যকলাপের প্রতিবেদন সরকারকে দিতে হবে। কারণ দুই দেশের মধ্যে আর্থিক বিনিময়ের স্বচ্ছ ও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকতে চায় বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ও মেধা চীনের স্থানান্তর ঠেকাতে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বাণিজ্য ও প্রযুক্তি প্রকল্পের পরিচালক এমিলি বেনসন বলেন, চীনের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এসব মোকাবিলায় যে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট উপায় নেইÑতার অনেক প্রমাণ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে গত কয়েক বছরে বিনিয়োগ কমেছে। কারণ দেশ দুটি অন্যান্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে চীনের প্রযুক্তি শিল্পে প্রবেশের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্মগুলো সেদেশে অংশীদারত্বের লাভজনক সুযোগ খোঁজা অব্যাহত রেখেছে।
এখন নতুন এ বিধিনিষেধ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বিপাকে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, এ বিধিনিষেধে চীনের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ অন্য অনেক দেশ চীনের সঙ্গে প্রযুক্তিগত অংশীদারত্ব তৈরি করে চলেছে এবং দেশটিতে মূলধনের অভাব নেই।
