শেয়ার বিজ ডেস্ক: কার্বন নির্গমন ২০৪৫ সালের মধ্যে শূন্যে আনার লক্ষ্যে জার্মানি আগামী চার বছরের জন্য বিপুল বিনিয়োগ করতে চলেছে। ইউরোপ মহাদেশে বর্তমান পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। খবর: ডয়চে ভেলে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব টের পাচ্ছে ইউরোপ। অস্বাভাবিক উষ্ণ তাপমাত্রা এবং ঝড়-বৃষ্টি-বন্যার ফলে ধ্বংসলীলা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপের অনেক দেশ। এমন অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে আরও জোরালো পদক্ষেপের জন্য চাপ বাড়ছে। তাই শুধু পরিবহন খাতে নয়, সার্বিকভাবে কার্বন নির্গমন কমাতে উচ্চাকাক্সক্ষী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করছে দেশগুলো।
জার্মানির মন্ত্রিসভা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি তরান্বিত করতে আগামী বছরের জন্য প্রায় ৫ হাজার ৭৮০ কোটি ইউরো বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৩ সালের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সেই অঙ্ক প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। ২০৪৫ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে আনার লক্ষ্যে জার্মানি ভর্তুকিও বাড়াচ্ছে জার্মান সরকার।
আগামী বছর ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ তহবিলের সিংহভাগ নির্মাণ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ব্যয় করা হবে। জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পুরোনো ভবনের সংস্কার ও নতুন পরিবেশবান্ধব ভবন তৈরির লক্ষ্যে ১৮৯ কোটি ইউরো বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চার্জ করার অবকাঠামোর উন্নতির জন্যও সরকার বিনিয়োগ করবে। জার্মানি শুধু আগামী বছরে পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বড় বিনিয়োগ করছে না; ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত মোট ২১ হাজার ২০০ কোটি ইউরো ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পুরোনো ভবনের সংস্কারের প্রশ্নে জার্মানিতে মানুষের মনে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিদ্যুৎ ও ঘর গরম রাখার ব্যয় কমাতে যে ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন, তার দায় মালিক বা ভাড়াটেদের ওপর চাপানোর বিষয়ে অসন্তোষ রয়েছে।
সংস্কারের চাপ যাতে সামাজিক অসন্তোষ সৃষ্টি না করে, সেই লক্ষ্যে সরকারি ভর্তুকি জরুরি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ঘর গরম রাখার হিটিং ব্যবস্থা যেখানে পৌর পর্যায়ে স্থির করা সম্ভব, সেই পদক্ষেপের জন্যও সরকার আর্থিক সহায়তা দিতে চায়। একমাত্র সার্বিক উদ্যোগের মাধ্যমেই জার্মানিতে নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে বলে সরকার মনে করছে।
