শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে দুই মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে গুলি করে হত্যার পর এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। খবর এএফপির।
গত বুধবার দেশটির রাজধানী কিটোর উত্তরে একটি স্কুলে রাজনৈতিক সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন ভিলাভিসেনসিও। বৃহস্পতিবার এক ভাষণে ইকুয়েডরে ৬০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো।
তিনি বলেন, ফার্নান্দোর হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। তারা ইকুয়েডর সরকারের অনুরোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এফবিআই শিগগিরই ইকুয়েডেরে এসে তদন্ত শুরু করবে।
গুইলারমো আরও বলেন, আগামী ২০ আগস্টের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নাগরিকদের নিরাপত্তা, দেশের শান্তি এবং নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ঐক্যবদ্ধ।
ফার্নান্দোর হত্যার ঘটনায় ইকুয়েডরে তিনদিনেরে জাতীয় শোকও ঘোষণা করেন গুইলারমো লাসো।
এর আগে প্রেসিডেন্ট লাসো জানিয়েছেন, ভিলাভিসেনসিওর হত্যাকাণ্ডে তিনি ‘ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত’। তিনি বলেন, তার (ভিলাভিসেনসিও) স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি আমার সংহতি ও সমবেদনা। তার স্মৃতি এবং লড়াইয়ের প্রতি সম্মান রেখে আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, এই অপরাধের সাজা অবশ্যই হবে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ২০ আগস্ট। প্রথম দফার এই নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া আটজন প্রার্থীর একজন ছিলেন ফার্নান্দো।
একসময় শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত ইকুয়েডরে মাদক পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধ-সংক্রান্ত সহিংসতা বাড়ছে। দেশটির আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি যে অবনতিশীল, তার সবশেষ প্রমাণ ফার্নান্দোর নিহত হওয়ার ঘটনা।
গত মাসে সংঘবদ্ধ অপরাধের সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের পরে দেশটির তিন প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লাসো; এমনকি রাতে কারফিউ ঘোষণা করা হয় এ প্রদেশগুলোতে।
গত সপ্তাহে ফার্নান্দো বলেছিলেন, তাকে এবং তার দলকে মাদক পাচারের সাথে জড়িত একটি গ্যাংয়ের নেতা হুমকি দিয়ে আসছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জন কলম্বিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইকুয়েডর পুলিশ জানিয়ছে।