নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভা অনুষ্ঠিত হবে, যা ব্যাংকার্স সভা নামে পরিচিত। দেশে আমদানির আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং (পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে) আর রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের (পণ্যের দাম কম দেখিয়ে) মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। তাই এবারের ব্যাংকার্স সভায় অর্থ পাচার বন্ধে ইনভয়েসিং জালিয়াতি রোধে বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে আমদানি রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং আর রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েস হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল ব্যাংকার্স সভা হয়েছিল। তিন মাস পরপর এ সভা হয়ে থাকে। আজ বিকাল ৩টায় বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে তফসিলভুক্ত ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে মতামত দেয়ার কথা রয়েছে।
আজ অনুষ্ঠেয় ব্যাংকার্স সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতি, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূক কর্তৃক ক্লাস্টারভিত্তিক সিএমএসএমই উদ্যোগে অর্থায়ন বৃদ্ধি, ব্যাংকগুলোর খোলা এলসির আউটস্ট্যান্ডিং, ব্যবহার বিল এবং ওভারডিউ তথ্যের সঙ্গে অনলাইন আমদানি মনিটরিং সিস্টেমের তথ্যের পার্থক্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা, আমদানি তথ্য যথাসময়ে ও নির্ভুলভাবে রির্পোটিং নিশ্চিত করা এবং সব তথ্য আপলোড করা, রপ্তানিকার্য সম্পাদনের ১৪ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জাহাজীকরণের তথ্য অনলাইন এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমে রিপোর্ট না করা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ইম্পপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম এবং অনলাইন ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট মনিটরিং সিস্টেমে যথা সময়ে এবং নির্ভুলভাবে তথ্য প্রদান করা, ফরম সি-এ ঘোষণা প্রদান বিষয়ক গ্রাহক হয়রানি এবং অর্থঋণ আদালতে মামলাধীন ঋণ, অগ্রিম, আদায় এবং মামলা নিষ্পত্তিসহ বিবিধ।
ব্যাংকার্স সভার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিন মাস পর পর এ সভা বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বরাবরের মতো ঘোষিত মুদ্রানীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি, ব্যাংকার্স হসপিটাল নির্মাণের অগ্রগতি, অর্থঋণ আদালতে আটকে থাকা খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি এবং এক্সচেঞ্জ রেট।