নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ‘বেনিফিশিয়ারি ওনার্স’ (বিও) অ্যাকাউন্টসে পাঠিয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা পাঁচ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরেও ব্যাংকটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৯ টাকা ৬৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৭২ পয়সা (ঘাটতি)।
ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির তিন হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১০৮ কোটি ৮৫ লাখ ৬২ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩২ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ১৮ শতাংশ এবং বাকি ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৪৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৪৬ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬৮ পয়সা।
এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ২৮ পয়সা (ঘাটতি), অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
