শেয়ার বিজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ার প্রদেশ সেলাংগরের এলমিনা শহরে যাত্রীবাহী ছোট একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সেলাংগর পুলিশের প্রধান দাতুক হোসেন ওমর খান জানিয়েছেন। খবর: দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএএম) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরজামান মাহমুদ বলেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি বিচক্রাফট মডেল-৩৯০-এর, যার নিবন্ধন নম্বর এন২৮জেভি।
দেশটির পরিবহন সংস্থা জেটভ্যালেট এসডিএন বিএইচডি পরিচালিত বিমানটি দুপুর ২টা ৮ মিনিটে ল্যাংকাউই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। সুবাংয়ের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের উদ্দেশে অবতরণের কথা ছিল ছোট এই উড়োজাহাজের।
সংস্থাটি বলেছে, সুবাংয়ের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে উড়োজাহাজটির প্রথম যোগাযোগ হয় দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে। আর উড়োজাহজাটিকে অবতরণের ছাড়পত্র দেয়া হয় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে। সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও পাইলট কোনো জরুরি কল করেননি।
উড়োজাহাজটি এলমিনার একটি সড়কে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সেখানকার একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
সেলাংগর পুলিশের প্রধান দাতুক হোসেন ওমর খান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় ফ্লাইটের ভেতরে কমপক্ষে দুজন ক্রু ও ছয়জন যাত্রী পেয়েছি। যাদের সবাই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে সড়কে একটি গাড়ির চালক ও একজন মোটরসাইকেল আরোহীও মারা গেছেন। তবে গাড়ির ভেতরে আরও লোকজন ছিল কি না আমরা এখনও তা নিশ্চিত হতে পারিনি। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য ক্লাংয়ের টেংকু আম্পুয়ান রহিমাহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহী ছিলেন ২৯৫ জন। তাদের সবাই নিহত হন। তবে উড়োজাহাজটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল। তার আগে একই বছরের ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে উড্ডয়নের পর নিখোঁজ হয় একটি উড়োজাহাজ। ১২ জন ক্রু ও ২৭২ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হওয়া এমএইচ-৩৭০ নম্বর ফ্লাইটটির কোনো হদিস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, মেলেনি কোনো ধ্বংসাবশেষও।
