নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি এবং বিমা খাতের কোম্পানি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি: আগামী ২৮ আগস্ট বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩০ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইবনে সিনা ফার্মা। আলোচিত হিসাববছরে ইবনে সিনার শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের হিসাববছরে যা ছিল ১৫ টাকা ৬৬ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ৩৬ পয়সায়। আগের হিসাববছর শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ৬৯ পয়সায়।
পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: আগামী ২৩ আগস্ট বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৩ সালের ৩০ জ–ন সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
এদিকে সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর আগে সবশেষ ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট তিন কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও বাকি ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।