ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের অন্যতম দুটি ইউনিয়ন হলো পদ্মপুকুর ও গাবুরা। এ দুটি ইউনিয়নে প্রায় এক লাখ মানুষের বসবাস। যারা প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে যুগ যুগ ধরে কোনোমতে বেঁচে আছে। প্রতি বছর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে মানুষ তাদের বসতবাড়ি ও মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। দুর্যোগের পর স্থানীয় সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণসামগ্রী এলেও এরপর আর কোনো খোঁজ থাকে না। জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণই থেকে যায়। এমনকি এক শ্রেণির অসাধু জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদাররা বাঁধ মেরামতের নামে লাখ লাখ টাকা লোপাট করেন। ষাটের দশকের বেড়িবাঁধ প্রায় অর্ধশত বছর ধরে এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এই কারণে সামান্য ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে মানুষ। তারা ঝড়কে ভয় পায় না, ভয় পায় বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়াকে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও মানুষ স্বপ্ন দেখে তাদের পিতৃভূমিতে বসবাস করার। এ ইউনিয়নের মানুষরা ত্রাণ চান না, তাদের একমাত্র চাওয়া টেকসই বেড়িবাঁধ। সে লক্ষ্যে সরকার গাবুরাকে মডেল ইউনিয়ন প্রকল্পের আওতায় আনলেও পদ্মপুকুর সেই জরাজীর্ণ অবস্থাতেই রয়ে গেছে। তাই অবিলম্বে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মানুষের নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।

আবুল বাশার

শিক্ষার্থী, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০