নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে এদিন উত্থানেও শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল পাট খাতে। এদিন শুধু আলোচ্য খাতের দর কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল কাগজ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। ২ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় শুধু পাট খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।
লেনদেনের দিক থেকে গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া আইটি খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্য মতে, এ দিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তার বিপরীতে বেড়েছে ১২১টি কোম্পানির শেয়ার। আর অপবির্তিত রয়েছে ১৮০ কোম্পানির শেয়ার। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ৯ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে।
এদিন ৩৩৩ প্রতিষ্ঠানের ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে দাঁড়িয়েছে ৪২৭ কোটি ৪৯ লাখ ২২ হাজার টাকায়। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১৩ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রূপালী লাইফের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। এরপরের তালিকায় যথাক্রমে ছিল, সোনালী পেপার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন হাউজিং লাফার্জহোলসিম এডিএন টেলিকম এবং জেএমআই হসপিটাল লিমিটেডের শেয়ার।
এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৬৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৪টির দাম।
দিন শেষে সিএসইতে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮১ হাজার ৫৯১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৮ শেয়ার ও ইউনিট।