বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসের আশ্রয় নিয়েছে: হাছান মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের ইস্যুতে আশ্রয় নিয়েছে। এভাবে আশ্রয় নিয়ে যারা খুন, মানুষ পোড়ানো, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে, যাদের জš§টাই খুন ও রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে, তাদের দ্বারা দেশ ও জাতির কখনও উন্নয়ন অগ্রগতি হয় না।’

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নাকি বলেছেন, তাদের (বিএনপি) আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। আমি ড. ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাইÑনোবেল পুরস্কার পেলেই কি কেউ আইনের ঊর্ধ্বে? দেশের রাষ্ট্রপতি হলে কি কেউ আইনের ঊর্ধ্বে?’

‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাকেও কয়েক বছর জেলখানায় কাটাতে হয়েছে। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনিও শাস্তি ভোগ করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকেও কিছুদিনের জন্য জেলখানায় যেতে হয়েছে। তাহলে নোবেল পুরস্কার পেলেই কি তার শ্রমিকের পাওনা মওকুফ?’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তারা এখন বড় কথা বলে। রাত-বিরাতে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। কেউ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার সমর্থন করেনি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ আসছেন, আবার রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছুটে আসছেন। এতেই প্রমাণিত হয়, বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের সঙ্গে আছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল জাতিরাষ্ট্রকে হত্যা করা। এ হত্যাকাণ্ড মানব ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকাণ্ডে। কারবালার প্রান্তরে নারী শিশুদের রেহাই দেয়া হয়েছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের নারীসহ ছোট্ট শিশু রাসেল, সবাইকে হত্যা করা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। এমনকি তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আইয়ুব খান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাকে বলা হয়েছিল, ৬ দফার দুটি দফা বাদ দিতে। তার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ’৭০-এর নির্বাচনের আগে ৬ দফা ছিল আওয়ামী লীগের। এখন তা জনগণের দফা। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাঙালির মুক্তি নেই। তাই তিনি ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি যখন মনে করলেন ডাক দেয়া দরকার, তখনই স্বাধীনতার ডাক দিলেন।’

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে প্রধান দুই কুশীলব খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। তার প্রমাণ হচ্ছে ক্ষমতা দখল করার পর তাকে সেনাপতি বানানো। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা খুনের ওপর দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন, তারা এখন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ভোটও পান।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাবির সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিল্পী হাশেম খান প্রমুখ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০