দরপতনের শীর্ষে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল টপটেন লুজার বা দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাতের কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি এভন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওই দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ২ টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন ৪৬ লাখ ৮৫৬টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৯৭৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর ১১ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৩৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০২২-২৩ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৩ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৬ পয়সা (লোকসান)। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯১ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থ প্রবাহ হয়নি, তবে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ ছিল ৫১ পয়সা।

সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৯৪ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৫৭ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ২৬ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা।

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০