প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচিত এ সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৪৯ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ টাকা ৯৫ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান ৫৪ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কর-পরবর্তী সমন্বিত লোকসান হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮০ কোটি ৬ লাখ টাকা। প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৯৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪ টাকা ৬৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান এক টাকা ৩৩ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮২ পয়সা (লোকসান)। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১৯ পয়সা ছিল।

লোকসান বাড়ার কারণ হিসেবে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল জানিয়েছে, আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে এবং এতে বাড়তি সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়েছে। যার প্রভাবে লোকসান বেড়েছে। এছাড়া আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি নতুন করে কোনো ঋণ বিতরণ করেনি। ফলে এ সময়ে কোম্পানিটির সুদ আয়ও কমেছে, যা লোকসান বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। এসব কারণের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে মন্দার কারণে ব্রোকারেজ কমিশন বাবদ কোম্পানিটির আয় কমে যাওয়ার কারণে চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটিকে লোকসান গুনতে হয়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোঘণা দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ হিসাব বছরে কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ২০৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গত এক হিসাব বছরের ব্যবধানে লোকসান বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৯৫ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৬ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ ও ভেনু পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ অক্টোবর। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর আগের হিসাব বছরের জন্য একই হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৭২ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পূঞ্জীভূত লোকসান ২৩৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৩। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৩ শতাংশ। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০