প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। উপজেলা শহরের হাসপাতালগুলোয় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। স্থানীয় মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালটিতে ভর্তি রয়েছে সর্বমোট ৯ ডেঙ্গু রোগী। এছাড়া চলতি সেপ্টেম্বর মাসে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শিশুসহ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত দুই রোগী মারা গেছেন। ডেঙ্গু জ্বরে যারা মারা গেছেন তারা হলেন, ৭ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাতারপাড়া গ্রামের মোকলেস উদ্দিনের মেয়ে তানহা (৬) এবং গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ধুবইল ইউনিয়নের ধুবইল গ্রামের মৃত মুনা খানের ছেলে সিরাজ খান (৬০)।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার পীযূষ কুমার সাহা বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দরকার মানুষের সচেতনতা।
তিনি আরও বলেন, রোববার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ রোগী মিরপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে মোট ৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এরই মধ্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২৪ দিনে শুধু মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬১ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার তাপস কুমার সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে মোট ৫০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্রের তেমন কোনো সংকট নেই। তবে গত দুই দিনে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। কুষ্টিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা থেকে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার জন্য আসছেন।
শহর ও গ্রাম থেকে প্রায় সমান ডেঙ্গু রোগী আসছেন বলে জানিয়ে এই আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, অন্যান্য জেলা থেকে রোগী আসার কারণে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।