শেয়ার বিজ ডেস্ক: কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। তবে বাণিজ্যে তার প্রভাব পড়েনি। কানাডা থেকে প্রায় এক লাখ টন মসুর ডাল ভারতের বিভিন্ন বন্দরে পৌঁছেছে। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মসুর আমদানির ক্ষেত্রে ভারত সরকার একরকম স্বস্তিতে রয়েছে।
ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের বার্ষিক মসুর ডালের চাহিদা ২৩ লাখ টন, দেশে উৎপাদিত হয় ১৬ লাখ টন। এখন ভারতের বিভিন্ন বন্দরে প্রায় ছয় লাখ টন মসুর ডাল আসায় আমাদের মধ্যে স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, এ বছর ঘাটতি হবে না।
ভারত সরকারের অন্যান্য সূত্র বলেছে, সরকার সম্ভবত ২০২৪ সালের পরও বিনা শুল্কে মসুর ডাল আমদানির সুযোগ রাখবে। এটা বিদেশিদের পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয়া যে ভারতের মসুর ডাল আমদানির পথ খোলা রয়েছে।
ভারতের সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডা থেকে ভারত ৩ হাজার ১২ কোটি রুপির বিনিময়ে ৪ দশমিক ৮৫ লাখ টন মসুর আমদানি করেছে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুনে আরও প্রায় এক লাখ টন মসুর ডাল কানাডা থেকে আমদানি করা হয়েছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতের মসুর আমদানি প্রায় দুই লাখ টনে পৌঁছেছে। এছাড়া রাশিয়া থেকেও মসুর ডাল আমদানি করছে ভারত।
গত মাসে রাশিয়া থেকে মসুর ডালবাহী একটি জাহাজ চেন্নাই বন্দরে পৌঁছায়। এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে মসুর আমদানির অনুমতি দেয়। কিন্তু ফাইটোস্যানিটারি-সংক্রান্ত উদ্বেগ ও উচ্চ মূল্যের কারণে রাশিয়া থেকে তখন আর মসুর ডাল আমদানি করা হয়নি। ভারত এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে মসুর ডালের জন্য অন্যান্য আমদানি উৎস খুঁজছে।
সম্প্রতি কয়েক বছরে ভারতের অভ্যন্তরীণ মসুর ডাল উৎপাদন বেড়েছে। মানুষকে মসুর ডালের বিকল্প যেমন, চানার ডাল খেতেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর মধ্যেই গত এক মাসে দেশটির বাজারে মসুর ডালের দাম কেজিতে এক রুপি বেড়েছে।