যমুনা এডিবল অয়েলের সঙ্গে এমারাল্ড অয়েলের চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চুক্তি অনুসারে যমুনা এডিবল অয়েলের কারখানা ব্যবহার করবে এমারাল্ড অয়েল। ‘এ চুক্তির ফলে এমারাল্ড অয়েলের উৎপাদন সক্ষমতা আরও বাড়বে। যমুনা এডিবল অয়েল মিলে প্রতিদিন ৬০০ টন ব্র্যান ক্রাশিং করতে পারবে এমারাল্ড অয়েল। এতে বছরে এমারাল্ড অয়েলের টার্নওভার হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে এবং বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করতে পারবে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর বছরের তুলনায় এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতিত) ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮৭ পয়সা (ঘাটতি)। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৫০ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪১ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫৯টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। এছাড়া গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০