নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে তিন দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। দেশজুড়ে চলা বৃষ্টিতে আটটি নদীর পানি বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা-পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
অন্যদিকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে তিন দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং যমুনা নদীর পানি সমতল কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকলেও পদ্মায় কমছে। তবে এ দুই নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাড়তে পারে।
‘দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন,
সোমেশ্বরী, জদুকাটা, ভুগাই-কংস নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে,’ বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
বন্যা-পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, দেশের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান উপ-নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তিস্তা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় শনিবার অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি দেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব-উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমাঞ্চল, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে রোববার ও সোমবার বৃষ্টিপাতের পর মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।