শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার সহিংস পরিস্থিতিতে তেল আবিব স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। খবর: টাইমস অব ইসরাইল।
গত শনিবার ইসরাইলে আচমকা রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। দুই পক্ষের মধ্যেই চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যা। দীর্ঘায়িত হতে পারে যুদ্ধ পরিস্থিতি।
গতকাল রোববার ব্লু চিপ কোম্পানিগুলোর টিএ-৩৫ সূচক কমেছ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। একই সঙ্গে বেঞ্চমার্ক
টিএ-১২৫-এর সূচক কমেছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে টিএ-৯০-এর সূচক কমেছে ছয় শতাংশের বেশি। টিএ-ব্যাংক সূচকে পতন হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এখানে রয়েছে পাঁচটি বড় ব্যাংক। অবকাঠামো, আবাসন ও বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর সূচক ওঠানামা করছে ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে।
সাগোত ইনভেস্টমেন্ট হাউসের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট ওরি গ্রিনফ্লেড সতর্ক করে বলেছেন, অন্যান্য সংঘর্ষের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন; আর্থিক বাজারগুলোও এবার আক্রান্ত হয়েছে। এ কারণে আর্থিক খাতে আরও ধস নামতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইসলাইলের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি আর্থিক বাজারগুলো। দক্ষিণাঞ্চলের সংঘাত শিগগির থেমে গেলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দীর্ঘায়িত হলে আর্থিক পুনরুদ্ধার বেশ জটিল হয়ে পড়বে।
গ্রিনফ্লেডের ধারণা, দুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ইসরাইলের অর্থনীতি। প্রথমত, আবার রকেট হামলার আশঙ্কায় ইসরাইলি ভোক্তারা সীমান্ত এলাকা থেকে সরে আসতে পারেন। এতে ভোক্তাব্যয় কমবে। দ্বিতীয়ত, এসব এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ কমে আসবে।
এছাড়া নেতানিয়াহুর জোট সরকারের নেয়া বিচার ব্যবস্থাপনা সংশোধনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তেল আবিবে যে বিক্ষোভ হয়েছে, তাতেও অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন গ্রিনফ্লেড।
