প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক ও হেলপারকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার ধামরাই উপজেলার বড়াকৈর গ্রামের বদর উদ্দিন, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মো. ইসলাম ওরফে কালু, একই গ্রামের ইয়াকুব আলী শেখ ও গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার হারবাইদ গ্রামের বিল্লাল শিকদার।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামের বাবু মিয়া, ভোলার লালমোহন উপজেলার কলমা গ্রামের শাহ আলম, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাবুল শেখ, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ও মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আখের আলী। রায়ের সময় আখের আলী ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৬ আগস্ট সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পাথর নিয়ে ট্রাকচালক জয়নাল (৪০) ও হেলপার রুবেল (২৮) গাজীপুরের শ্রীপুর যাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে আসামিরা মানিকগঞ্জ থেকে ট্রাকটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর ট্রাকচালক ও হেলপারকে হত্যা করে তাদের মরদেহ রাতেই মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ব্রিজের কাছে ফেলে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ৭ আগস্ট ঘিওর থানার পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন এবং ট্রাকচালক জয়নালের ভাই হারুনর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
আলোচিত এই হত্যার মামলাটি প্রথমে ঘিওর থানা পুলিশের এসআই এনামুল হক ও পরে মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির এসআই আব্দুস সালাম। তদন্ত শেষে নয়জনকে আসামি করে ২০১১ সালের ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক হন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি মথুর নাথ সরকার ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।