ক্রীড়া প্রতিবেদক: বলতে গেলে এক রোহিত শর্মার কাছেই হেরে গেছে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের কয়েকটি রেকর্ড ভাঙার ম্যাচে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা ভারতীয় অধিনায়ক রশিদ-মুজিবদের মনোবল আগেই ভেঙে দিয়েছিলেন। মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করার পর তিনি থেমেছেন ১৩১ রানে। এরপর বিরাট কোহলির অর্ধশতক ও ইশান কিষাণের প্রায় ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ভারতের জয় পাওয়াটা কেবল কিছু সময়েরই ব্যাপার ছিল। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হাতে রেখেই টানা দ্বিতীয় জয় পেল ভারত।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপের শুরুতেই তারা বাংলাদেশের কাছে শোচনীয় পরাজয় দেখে। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ টপ ফেভারিট ভারতের বিপক্ষে হাশমতউল্লাহ শহিদির দল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়। ব্যাটিংয়ে নেমে একটা সময় ৩০০ দেখতে পাচ্ছিল আফগানিস্তান। ভারতের বোলিং শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৭২ রানে থামিয়েছে রশিদ-নবিদের; যা বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাদের সর্বোচ্চ স্কোরটি ২৮৮। ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৮৮ রান করেছিল তারা।
দিল্লিতে ঠিক যে কারণে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া, তার যথাযথ প্রয়োগ করতে পেরেছেন কেবল আজমতউল্লাহ উমরজাই ও হাশমতউল্লাহ শহিদি। ৬৩ রানে তিন উইকেট পতনের পর দু’জনে মিলে ১২১ রানের জুটিতে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গেছেন। এ জুটিই বড় স্কোরের আশা দেখাচ্ছিল। দলের ১৮৪ রানে উমরজাইকে বোল্ড করে জুটি ভেঙেছেন পান্ডিয়া।
উমরজাই দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংসে ফিরেছেন। তখন মাত্র ৩৪.২ ওভারের খেলা চলছিল। ফলে হাশমতউল্লাহ শহিদি থাকায় ৩০০ রানের সম্ভাবনা তখনও ছিল দৃষ্টিসীমানায়। এই ব্যাটার যতক্ষণ ছিলেন পথ দেখাচ্ছিলেন তাদের। কিন্তু দলের ২২৫ রানে তাকে আউট করেই আফগানদের চেপে ধরে ভারতের বোলিং। ৮৮ বলে ৮০
রান করা অধিনায়ক শহিদিকে আউট করেছেন কুলদীপ। শহিদির ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মার। শেষ ১০ ওভারেই মূলত আফগানদের চেপে ধরে ভারত। তাতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নবি-রশিদরা। নিচের দিকের ব্যাটাররা সেভাবে প্রভাব বিস্তারী কিছু করতে পারেননি। নবি ২৭ বলে ১৯ রান করেছেন। রশিদ খান ১২ বলে ফিরেছেন ১৬ রানে। মেরেছেন একটি চার ও একটি ছয়। শেষ পর্যন্ত ২৭২ রানে থেমেছে আফগানদের ইনিংস।
৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন জাসপ্রীত বুমরা। হার্দিক পান্ডিয়া ৪৩ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর ও কুলদীপ যাদব।