চার্জার ছাড়া প্রযুক্তিপণ্য ভাবাই যায় না। মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের প্রযুক্তিযন্ত্রকে টেকসই রাখার জন্য এটি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র।
বাজারে অনেক ধরনের চার্জার পাওয়া যায়। জানলে অবাক হবেন, শত শত চার্জারের ভিড়ে কার্যকর চার্জারের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি চারশ নকল চার্জারের মধ্যে মাত্র তিনটি বৈদ্যুতিক শক ঠেকাতে সচেষ্ট। ৯৯ শতাংশ চার্জারের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নেই। যুক্তরাষ্ট্রসহ আটটি দেশে এই জরিপ চালানো হয়।
পথেঘাটে, এমনকি অভিজাত বিপণিবিতানেও রয়েছে নকল চার্জারের বিশাল বাজার। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। এসব চার্জার ব্যবহার করে অনেক ব্যবহারকারীই ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই দেখে নিন নকল চার্জার চেনার উপায়।
প্লাগ পিন
প্রথমে একটি সকেটের সুইচ চালু করুন। তবে প্লাগটি কোনো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করবেন না। প্লাগের পিন সকেটে ঢুকানোর পর খেয়াল করুন তা সঠিকভাবে খাপ খাচ্ছে কি না। পিন ও চার্জারের ধারের মধ্যে অন্তত ৯.৫ মিলিমিটার জায়গা থাকা উচিত। অন্যথায় পিনগুলো ভুল আকারে বানানো হয়েছে বলে ধরা যেতে পারে। আর সঠিকভাবে খাপ না খেলেও বুঝবেন ভুল চার্জার কিনেছেন।
মার্কিং
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড নেম কিংবা লোগো, মডেল, ব্যাচ নাম্বার ও নিরাপত্তা নির্দেশক চিহ্ন যাচাই করুন।
সতর্কতা ও নির্দেশনা
পণ্যের নির্দেশনায় শর্ত ও ব্যবহারের নীতিমালা উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক। এগুলো ভালো করে পড়–ন। এখানে নিরাপদে চার্জার ব্যবহারের নিয়মকানুন উল্লেখ করা থাকে।
সঠিক পণ্য
যেনতেন চার্জার ব্যবহারেই অভ্যস্ত বেশিরভাগ মানুষ। এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। পণ্যের সঙ্গে দেওয়া চার্জার ব্যবহারের চেষ্টা করুন। অনলাইনে চার্জার না কেনাই ভালো।
তথ্যসূত্র: আইগিগসব্লগ ডটকম
Add Comment