ক্ষুধাসূচকে আরো নিচে ভারত, প্রত্যাখ্যান সরকারের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সম্প্রতি বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক (জিএসআই) প্রকাশিত হয়েছে। এই সূচকে গত বছরের তুলনায় আরও নিচে নেমে গেছে ভারত। অবশ্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা এগিয়ে রয়েছে ভারতের চেয়ে। তবে এই সমীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত। খবর: ডয়চে ভেলে।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে গত বছর ভারতের স্থান ছিল ১০৭ নম্বরে। এবছর দেশটি আরও চার ধাপ নিচে নেমে গেছে। ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান এখন ১১১ নম্বরে। শিশুদের অপুষ্টির হারের দিক থেকেও ভারতের অবস্থা ভয়াবহ। দেশটিতে শিশুদের অপুষ্টির হার ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। গোটা বিশ্বে যা সর্বোচ্চ।

ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, যে পদ্ধতিতে এই সমীক্ষা হয়েছে তা ত্রুটিযুক্ত। ভারতের পরিস্থিতি এতো খারাপ নয়। সমীক্ষাটি অভিসন্ধিমূলক বলেও দাবি করা হয়েছে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি ভারতের চেয়ে ভালো। পাকিস্তান আছে ১০২ নম্বরে। বাংলাদেশ ৮১ নম্বরে। নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ৬৯ এবং ৬০ নম্বরে। রিপোর্টের দাবি, ভারতে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর খাবার জোটে না। ১৫ থেকে ২৪ বছরের নারীদের মধ্যে ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন। পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার তিন দশমিক এক শতাংশ।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, মাত্র তিন হাজার স্যাম্পেল সাইজে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ফলে সমীক্ষাটি ত্রুটিপূর্ণ। গোটা দেশের পরিস্থিতি এখানে উঠে আসেনি। বস্তুত, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি- ভারতে শিশু অপুষ্টির হার সাত দশমিক দুই শতাংশের নিচে। বহুদিন ধরেই এই পরিসংখ্যান আছে। ফলে নতুন রিপোর্টের বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য একমত নয় কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলো। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে, সরকারের অপারগতা স্পষ্ট হয়েছে রিপোর্টে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন সত্য ধামাচাপা দিতে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০