নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বিপুল অঙ্কের কর ফাঁকি দিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় আসামি হয়েছেন রাজধানীর সূত্রাপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবু সাঈদ। যদিও মৎস্য ও পোলট্রি ব্যবসা দেখিয়ে ওই সম্পদ বৈধ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৩২ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার ২০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ রোববার মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপপরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভুঞা। গতকাল সোমবার দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজহারে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ ফোন করে অভিযোগ করেন যে, আবু সাঈদ নামে একজন করদাতা, যিনি কর অঞ্চল-৭-এর কর কমিশনার এ জেড এম জিয়াউল হককে এক কোটি টাকা ঘুষ প্রদানের বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়েছেন। ওই অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অভিযোগ অনুসন্ধান করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জিয়াউল হক, তার স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুস ও মোহাম্মদ আবু সাঈদ সম্পদ বিবরণী তলব করা হয়। আসামি মোহাম্মদ আবু সাঈদের সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধান করে তার বিরুদ্ধে ৩২ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার ২০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।
আসামি ২০১৪-২০১৫, ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ সালে করবর্ষের রিটার্নে ৩২ কোটি টাকার সম্পদ মৎস্য ও পোলট্রি খামার প্রদর্শন করলেও দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৯-২০২০ সালে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খামারগুলো করা হয়েছে। অর্থাৎ দুদকের অনুসন্ধানে শুরু হওয়ার পর অন্যের খামার নিজের হিসাবে দেখানো বৃথা চেষ্টা করেছেন আসামি সাঈদ। মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।