নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সারাদেশে শান্তি সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, খেলা হবে? খেলা হবে? প্রস্তুত? বিএনপি কোথায়? মহাযাত্রা এখন মহাপতন যাত্রা। বিএনপির মহাযাত্রা এখন মরণযাত্রা। খেলা হবে? সেমিফাইনালে আমরা গেছি। তারপর ফাইনাল নির্বাচনে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জবাব দিতে হবে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে কারা হামলা করেছে? পুলিশের গায়ে যারা হাত তুলেছে, তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল। তারা তাদের পুরোনো চেহারা জাতির সামনে তুলে ধরেছে। এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। এদের অপরাধের বিচার হবে। এই নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না। এ অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। ভোঁতা অস্ত্রে কাজ হবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (আজ রোববার) মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলাÑসারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে সারাদেশে সতর্ক অবস্থান থাকবে। আমরা শান্তি চাই। নির্বাচন, নির্বাচনের আগে ও পরে সবসময় আমরা শান্তি চাই। সামনে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে খেলার মতো খেলতে হবে। এদের শিক্ষা দিয়ে দিতে হবে। এই অপরাধীদের স্বভাব আজকে আত্মার মতো পরিষ্কার। এদের আর ক্ষমা করা যায় না।
অপরদিকে, বিএনপির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) বিএনপির সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক, পুলিশসহ আহতদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নানক।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধায় বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টন মোড় এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগেই ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলছিল।