শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় অভিযানের সময় তাদের ১১ জন সেনা নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরুর পর এক দিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ক্ষয়ক্ষতির এটাই সবচেয়ে বড় সংখ্যা বলে জানানো হয়েছে। সেখানে রাতভর অভিযান চালানো হয়। খবর: আল জাজিরা।
নতুন করে আরও ১১ সেনা নিহত হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ৩২০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড এবং ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের কাছে তীব্র প্রতিরোধে পড়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমনটা তারা আগে থেকেই অনুমান করেছেন। তার মতে, এটা একটা যুদ্ধ এবং এতে তাদের কিছুটা মূল্য দিতেই হবে।
এদিকে গাজার সবচেয়ে বড় টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পালটেল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ফের সব ধরনের যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে পালটেলের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আরেক পোস্টে বলা হয়েছে, গাজায় ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুদিন স্বাভাবিক রাখার পর আবার সবকিছু থেকে গাজাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে তখন গাজায় সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সে সময় এক দিনের বেশি সময় ধরে গাজায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এখন আবার একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে গত মঙ্গলবার হামলা চালিয়েছে ইযরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পাশের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, অন্তত ৫০ জন নিহত ও কয়েক ডজন নাগরিক আহত হয়েছেন। তারা বলেছেন, ইযরায়েলি বিমান হামলার কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, হামলায় ২৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ক্যাম্পের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারীরা। এতে দেখা যায়, ধ্বংসাবশেষ থেকে মরদেহ বের করা হচ্ছে। ফুটেজে ধ্বংসস্তূপ থেকে কমপক্ষে ৪৭টি মরদেহ উদ্ধার করতে দেখা গেছে।
