প্রতিনিধি, জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা হিসেবে ‘সুন্দরবন’ এলাকায় রাতের আধারে নির্বিচারে প্রায় ৪০টি গাছ কাটা হয়েছে। নির্বিচারে এ গাছ নিধনের প্রতিবাদে গাছের প্রতীকী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসব গাছের মধ্যে শাল, সেগুন, জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিবেশ রক্ষাকারী গাছ রয়েছে।
বুধবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সমাজবিজ্ঞান ভবন, শহিদ মিনার হয়ে রেজিস্ট্রার ভবনে এসে শেষ হয়। এ সময় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘রাতের আঁধারে গাছ কাটে ভিসি কী করে? রাতের আঁধারে গাছ কাটে দালাল ফিরোজ কী করে? প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, উন্নয়ন চাই না’ ইত্যাদি সেøাগান দিতে দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া হিসেবে শিক্ষার্থীরা গাছ কাটার স্থানে পুনরায় কিছু নতুন গাছের চারা রোপণ করেন।
জাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ‘আমরা শুনে আসছিলাম আইবিএ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলে ইলেকট্রিক করাত এনে গাছ কাটার পাঁয়তারা করছেন। আমরা আন্দোলনে যাব বলায় রাতের আঁধারে গাছ কেটে ফেলেছে, যা খুবই ন্যক্কারজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভবন নির্মাণ অতীব জরুরি দাবি করে আইবিএ-জেইউর পরিচালক অধ্যাপক কেএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষকদের কক্ষের সংকট আছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে এটা জানিয়ে আসছি। প্রশাসন আমাদের এই জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর গাছ কাটার বিষয়টা ঠিকাদার কোম্পানির ওপর নির্ভর করে। যতটুকু জেনেছি, ওরা আজ ভোরে গাছ কেটেছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস জানে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই করা হয়েছে বলে জানি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বাবুল বলেন, ‘রাতের আঁধারে গাছ কাটার এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূরে তামীম স্রোত বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন’ চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রশাসন বলেছিল উপাচারে্যর অনুমতি ছাড়া গাছের একটি পাতাও নাড়বে না। কিন্তু রাতের আধারে গাছ কাটা হয়েছে তা এই প্রশাসন জানেন না।
