নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের স্থায়ী সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের পর ১১ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। সম্প্রতি কোম্পানিটির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেছে নিরীক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমআরএইচ দে অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। পুনর্মূল্যায়িত সম্পদের প্রতিবেদন রূপালী লাইফের পর্ষদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুনর্র্র্মূল্যায়নের আগে রূপালী ইন্স্যুরেন্সের মোট স্থায়ী সম্পদের মূল্য ছিল ৩৪ কোটি ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ টাকা। পুনর্মূল্যায়নের পর সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ পুনর্মূল্যায়নের পর ব্যাংকটির স্থায়ী সম্পদের মূল্য বেড়েছে ১১ কোটি ৬৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৫ টাকা।
বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৩ কোটি ১৪ হাজার ২৩৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং বাকি ৪৮ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১০৬ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ১০৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ২ লাখ ৪০ হাজার ২৪৫টি শেয়ার ৮০১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ২৫৩ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বনিন্ম ৭১ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে ১৩ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। এর আগে ২০১৯ হিসাববছরে কোম্পানিটি মোট ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল।
