আশ্রয়প্রার্থীদের কাজের সুযোগ দিচ্ছে জার্মানি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কিছু আশ্রয়প্রার্থীদের জার্মানির শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ দিতে চলেছে জার্মানির সরকার। সেই সঙ্গে মানব পাচারকারীদের শাস্তির বিধান আরও কড়া করা হচ্ছে। বহিরাগতদের ঢল সামলাতে আরও উদ্যোগের সম্ভাবনা বাড়ছে। খবর: ডয়চে ভেলে।

শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জার্মানিসহ গোটা ইউরোপ। অন্যদিকে শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে কর্মী আনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অনাকাক্সিক্ষত ও অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন কমাতে জার্মানির সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কড়া পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে। এরই মাঝে জার্মানির মন্ত্রিসভা দেশটিতে বসবাসরত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও জার্মানিতে থাকার সাময়িক অনুমতি পাওয়া মানুষদের কাজের সুযোগ দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ অনুমোদন করেছে।

আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হওয়ার পর যেসব মানুষ জার্মানি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য, অথচ বিভিন্ন কারণে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না, এমন মানুষদের জন্য সরকারি আতিথেয়তার বদলে বৈধ আয়ের পথ খুলে দিতে চায় জার্মানি।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষে এমন মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ চার হাজার। তাদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশীর জার্মানিতে থাকার সাময়িক অনুমতি রয়েছে। আপাতত শুধু তারাই কাজের সুযোগ পাবেন। অন্য কিছু শরণার্থীও ৯ মাসের বদলে ছয় মাস পর কাজের অনুমতি পাবেন।

জার্মানির সরকারের পদক্ষেপের আওতায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা অবশ্য এমন সুযোগ পাবেন না। অর্থাৎ নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলো থেকে আসা যেসব মানুষের আশ্রয়ের আবেদন স্পষ্টত ভিত্তিহীন মনে করা হবে এবং যারা নিজেদের পরিচয় গোপন করছেন, তারা জার্মানিতে কাজের সুযোগ পাবেন না। তাছাড়া আবেদন নাকচ হওয়া শরণার্থীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে সরকার।

বহিরাগতদের জার্মানির শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ সহজ করার পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। যেসব মানব পাচারকারী মানুষের জীবনের ঝুঁকি সত্তে¡ও তাদের ইউরোপে আনার চেষ্টা করছে, আদালত তাদের ১০ থেকে ১৫ বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০